পুরুত মশাই মন্ত্র পাঠ করছেন। তনুশ্রী কনে সেজে বসে আছে। এইবার উঠতে হবে, সাত পাক ঘুরতে হবে তাকে। কার সাথে- যাকে সে চেনেনা, যাকে সে বোঝেনা। কি ভাগ্যের পরিহাস, তাই না? আর যাকে চেনে, বোঝে সে একটু দূরে পিছন থেকে করুণ নয়নে চেয়ে চেয়ে তাকাচ্ছে, হাসছে, কাঁদছে, লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল মুচছে। হা হা হা। অরুণ তেমন হ্যান্ডস্যাম নয়, ছিমছাম চেহেরার একটা ছেলে। আজ তার উপর প্রচুর দায়িত্ব। মেসোমশায় মানে তনুর বাবা তাকে এই বিয়ের সব দায়িত্ব দিয়েছে না!! বাড়ীর বড়রা সবাই ফুল ছিটাচ্ছে,পুরুত মশাই মন্ত্র পাঠ করছেন। অরুণের কানে আজ মন্ত্রগুলো যেন বিঁধছে। উলুর আওয়াজ তার বুকে আঘাত দিচ্ছে যেন। তনু মানে ওই তনুশ্রী এক পা দু পা করে পাক দিচ্ছে। মন চায়না, পা দুটো যেন জোড়হাত করছে, কাকুতি-মিনতি করছে। তনু কাঁদছে। সবার চোখে তার এই কান্না হয়ত বাপের বাড়ি ছাড়ার কান্না। কিন্তু জানে শুধু দুজনা। তারা... হ্যা শুধু তারা।
© এম.কবির ©
© এম.কবির ©
0 Comments