আমার 'আমি'টার গত দুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে, এক ভীষণ বড়ো ধরনের ধাক্কায়। না না... কোন বাহ্যিক দুর্ঘটনায় ঘটেনি তার সাথে। ঘটলে লিখতাম কী করে তার মৃত্যু কাহিনি? হাহাহা...!! তবে সে যে আর বেঁচে নেই এবং ক্ষণিক সময়ের বেড়াজালে কিভাবে তার তিলে তিলে মৃত্যু হল সে কেবল নিজেই উপলব্ধি করেছি। তবুও তার মৃত্যুর অনুভূতি আরেকজনও নিশ্চয়ই পাচ্ছে। থাক সে কথা। সে তো জানতোই যে আমার 'আমি'টা কতখানি অভিমানী। আমার 'আমি'টা এমনিতেই নানান কারণে ভীষণ রকম দুর্বল ছিলো, কোনো কিছুই ভালো লাগত না তার। তবে তার মৃত্যুর মাস ছয়েক আগে থেকে তাকে হাসিখুশিতে উজ্বল থাকতে দেখেছিলাম সবর্দা। যে কারণেই হোক না কেন তার খুশি আমি মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, কারণটা যখন আজ অনেক কারণ দেখিয়ে আমার 'আমি'কে অস্বীকার না করলেও স্বীকার করতে দ্বিধা বোধ করছিলো, তখন আমার 'আমি' আর বোধহয় সহ্য করতে পারলো না এই অভাবনীয় ধাক্কাটা। তাই সে চলে গেল, তাকে ছেড়ে। তবে নিঃস্ব করলো না আমাকে বা তাকে। দিয়ে গেল অফুরন্ত শক্তি, লেখনি শক্তি। তবে প্রশ্ন একটাই, এই মায়াময় পৃথিবীর মায়াজাল কাটিয়ে ওঠা আমার একার পক্ষে কি সম্ভব হবে? ভীষণ ভয়ও হয়, কোনো এক অদৃশ্য মায়াজালে নতুন কোনো ক্ষতের দাগ পেতে কোনভাবেই পুনর্জন্ম লাভ করবে না তো আমার 'আমি'টা? সত্যিই জানি না।
© প্রিয়া কর্মকার ©
0 Comments