Ad Code

.
.
1 / 8
2 / 8
3 / 8
4 / 8
5 / 8
6 / 8
7 / 8
8 / 8

কার্গিল বিজয় দিবস | দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে | প্রবন্ধ | কার্গিল বিজয় দিবস

কার্গিল বিজয় দিবস
দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

কারগিল যুদ্ধে(১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে জুলাই) দেশের জন্য আত্মত্যাগ কারী ভারতীয় সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৬ শে জুলাই 'কারগিল দিবস' পালিত  হয়। দিনটি অপারেশন বিজয়ের বিজয়কে স্মরণ করে পালন করা হয়, যা ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিজয় ছিল।

    জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এল ও সি) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কারগিল যুদ্ধ হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন বিজয়ের' অধীনে পাকিস্তান সৈন্যকে টাইগার' হিল' থেকে উচ্ছেদ করে এবং তারা আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল গুলি পুনরুদ্ধার করেছিল।

    এই যুদ্ধ দুই দক্ষিণ এশিয় প্রতিবেশীর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সংঘাত ছিল। এই সংঘাত তথা যুদ্ধের ফলে জীবন ও সম্পদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছিল। কারগিল যুদ্ধটা ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ যুদ্ধ। এবছর কারগিল যুদ্ধে ২৪ তম বিজয় দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    প্রকৃতপক্ষে কার্গিল যুদ্ধ ছিল জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থিত কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত এক সশস্ত্র সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে যখন প্রায় পাঁচ হাজার পাকিস্তানি সৈনিক ও জঙ্গিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে বলপূর্বক প্রবেশ করে, যা পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের অজান্তে পাকিস্তান সেনাপ্রধান পারভেজ মোশারফ এর নির্দেশে, এল ও সি অঞ্চলে (উচ্চতর  অঞ্চলে)  কৌশলগতভাবে পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল নিয়েছিল, যা ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল।

    এই যুদ্ধটি তে ভারত অবাক হয়ে গিয়েছিল, কারণ পাকিস্তান অনুপ্রবেশ 'সিমলা চুক্তি' লঙ্ঘন করে, ১৯৭২ এর এই চুক্তি হয়েছিল দুই দেশের শান্তি রক্ষার জন্য। পাকিস্তানি সৈন্যদের অনুপ্রবেশের লক্ষ্য ছিল শ্রীনগর থেকে লেহ সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া যা ভারতের নিরাপত্তা এবং লাদাখের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি মূলক বার্তা বলে মনে করে ভারত সরকার।

    ভারত সরকার দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়, পাকিস্তান বাহিনী ও জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে। এছাড়া অনুপ্রবেশকারী এলাকাগুলি  পুনরুদ্ধার করতে ১৯৯৯ সালের ২৬শে মে তারিখে 'অপারেশন বিজয়' শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতীয় বায়ু সেনা পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়ার জন্য চড়াই উৎরাই ভূখণ্ডে ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পাকিস্তানি সেনা ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। স্থলভাগ আক্রমণের জন্য আইএএফ, যুদ্ধের সময় মিগ২ আই,মিগ ২৩, ন মিগ ২৭, জাগুয়া, এবং মিরাজ ২০০০ ডিমান্ড ব্যবহার করা হয়েছিল।

    ভারত সরকার দু'লক্ষ সৈন্য একত্রিত করে 'অপারেশন বিজয়' চালিয়ে বিজয়ী হাসিল করে। ১৯৯৯ সালের ২৬ শে জুলাই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সৈন্যদের তাদের দখলকৃত অবস্থান থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৫২৭ জন সৈন্য মারা যান।

    কারগিল বিজয় দিবস প্রতিবছর ২৬ শে জুলাই শহীদ বীর সৈন্যদের সম্মানে ও স্মরণের উদ্দেশ্যে পালিত হয়। এই দিনটি সারা ভারতে এবং দেশের রাজধানী নতুন দিল্লিতে পালিত হয়। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া গেটে অমর জোয়ান জ্যোতিতে ভারতীয় সৈন্যদের শ্রদ্ধা জানান। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান কে স্মরণ করার জন্য সারা ভারতবর্ষে বীর শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হয়।








Post a Comment

0 Comments

Close Menu