১৮৯৯ এর ২৪ শে মে বর্ধমানের চুরুলিয়ায় জন্ম যার,
বিদ্রোহী কবি নজরুল সেই বহুমুখী প্রতিভার কর্ণধার।
বিদ্রোহী কবি নজরুল সেই বহুমুখী প্রতিভার কর্ণধার।
ফকির আহম্মদ, জাহেদা খাতুন পিতা মাতা তার,
সেই তো হলো দুখুমিঞা দুঃখেই জীবন ভার।
মাতৃহারা পিতৃহারা অভাব-অনটন
দশ বছরেই প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
বাড়ির দক্ষিণ পীরপুকুরের পূর্বপারের মসজিদে,
ধর্মানুরাগী মিঞা খাদেম ছিলেন ঐখানেতে।
অর্থের জন্য এগারো বছরে প্রবেশ করেন 'লেটো'র দলে,
এইখানেতেই কবি প্রথম গায়ক হলেন মনোরঞ্জন করে।
আসানসোলে আট টাকা বেতনে রুটির দোকানে চাকরি করেন,
কবির গুণে অভিভূত দারোগাবাবু মৈমনসিংহের স্কুলে ভর্তি করেন।
এক বছর পর তিনি দেশে ফিরে যান,
রানীগঞ্জের সিয়াররোল রাজ স্কুলে আবার ভর্তি হন।
সতেরো বছরের স্বাধীনতার স্বপ্নে মশগুল কবি ,
কিভাবে ইংরেজ তাড়ানো যায়, এই ভাবে বিভোর কবি।
১৯১৬ থেকে ১৯১৯ অবধি সৈন্যদলে ছিলেন,
তিন বছর বাঙালি পল্টনে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন।
এই সময় কবি নজরুলের খ্যাতি সুনাম ছড়িয়ে পড়ে,
"ধুমকেতু" নামে জ্বালাময়ী পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন।
পত্রিকা প্রকাশে ব্রিটিশ বিরুদ্ধে আগুন ছড়াতে থাকে,
এক বছরের কারাদণ্ড হলো ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে।
১৯২৪সালে বিয়ে করেন প্রমীলা দেবীকে ,
পুত্র শোকে অভাবে তাঁর দিন চলে অশান্তিতে।
পুত্র শোকে অভাবে তাঁর দিন চলে অশান্তিতে।
মেগাফোন কোম্পানিতে সংগীত পরিচালক হন,
বিশেষ সুবিধা না হওয়ায় তিনি আধ্যাত্মবাদী হন।
স্ত্রী প্রমীলা দেবীর মৃত্যু তাকে নিঃশেষ করে দেয়,
বহু বেদনায় কবির ১৯৭৬ এ জীবনাবসান হয়।
এরই মধ্যে করে গেছেন একের পর এক রচনা ,
বহুমুখী প্রতিভা কবির সঙ্গীতেই অপূর্ব চেতনা।
শ্যামা, বাউল, ইসলামী, স্বদেশী, ঠুংরি, খেয়াল,
কোনো দিকেই বাদ রাখেননি এই গীতিকার সুরকার।
দুখুমিঞা সঙ্গীত ও কবিতায় বাঙালিকে করেছে পূর্ণ।
এমন কবির যুগে যুগে হোক সার্থক জন্ম॥
~ সুতৃপ্তা মণ্ডল
© Copyright Protected
0 Comments