সন্ধ্যা নেমেছে। জনবহুল রাস্তা। গাড়ি ঘোড়ায় পিল পিল করছে শহরের প্রাণকেন্দ্র। কিছু বিশেষ কারণে, আমি একটু বেড়িয়েছিলাম। চারদিকের হ্যালোজেন আলো এক প্রকার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। যাই হোক সুযোগ বুঝে রাস্তা পার হলাম। কারণ আমাদের বাজার আজ বন্ধ! কিন্তু কাজ ফেলে রাখলে চলবে না, কোন ভাবেই!
আলো আঁধারের মিশ্রণ পথ। তিলোত্তমা কলকাতা। কথা, হাসি হুল্লোড়ে গম গম করছে। এরই মধ্যে হঠাৎ দেখলাম এক নিবিড় আলিঙ্গনের চিত্র। সামনে মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহে পবিত্র দূর্গাঘট স্থাপন করা। মন্দিরে টিম টিম করে আলো জ্বলছে। আর এরই মাঝে প্রেমের পূর্ণতার এক অবিশ্বাস্য বহিঃপ্রকাশ! প্রেমিকা তার প্রেমিককে এক কোমল স্পর্শে প্রেমের পরিভাষা ব্যক্ত করতে তৎপর। আলিঙ্গনই একমাত্র উপায়। কোন কথা নেই। আছে শুধু অপলক দৃষ্টির বিনিময় এবং ওষ্ঠের চারপাশে এক মৃদুমন্দ হাসি। তৃপ্ত দুই কায়া। আসলে কলকাতা শহরে এই রকম পবিত্র স্থানে পবিত্র মুহূর্ত খুব একটা চোখে পড়ে না। যাই হোক ঘড়ির কাঁটা চোখ রাঙায় এবং আমি আমার গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হয়! ফেরবার পথে সেই যুগলবন্দী। শুধু ভঙ্গিমার পরিবর্তন। আলিঙ্গন বিবর্তিত হয়েছে কথোপকথনে! প্রেম অটুট। আত্মিক বন্ধও। পারস্পরিক অনুরাগের স্পর্শও অমলিন!
এই চরম ব্যস্ততার মাঝেও এই ধরনের কিছু অনুভূতি যোগায় এক অনুপ্রেরণা। জীবন যুদ্ধ। তবু প্রেয়সীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করে এক প্রত্যয়। প্রেমের না জানি কত রং। কতই না বিবঙ্গ। কতই না ব্যাখ্যা। কতই না ব্যাপ্তি...
" প্রেমের প্রগারতা,
ভাষা পায় আলিঙ্গনে,
যতই দূরে থাক না সে,
তবু -
বাঁশির সুর বয়ে নিয়ে আসে
তারই কথা..."
0 Comments