সকালবেলায় ঘুম ভাঙল প্রভাতফেরীর বাজনা শুনে। ছোট্ট খোকন দৌড়ে গেল মনে অনেক প্রশ্ন নিয়ে॥ সামনে সবার গেরুয়া পোশাক,তার পিছনে সাদার সারি। ঐ দেখা যায় সবুজ পোশাক,দেখতে মজা লাগছে ভারি॥ খোকন শুধায়,"হ্যাঁ গো মা,ওরা যাচ্ছে কোথা এমন সাজে? সকালবেলায় গাইছে গান,ধাই-ধমা-ধম মাদল বাজে"॥ আলতো হাতে আদর করে মা হেসে কন,"তাও জানিস নে? আজ যে মোরা স্বাধীন হলেম,কত শত প্রাণের দানে॥ দেশের মাটি ডাক দিল যেই,ছুটল তারা আপন ভুলে। ভায়ের অশ্রু পান করে যায় মৃত্যুনদী অবহেলে॥ পরের ঘরের বন্দীদশায় মায়ের আঁচল লুটায় ভূমে। নিজের রক্ত ফেরি করে মায়ের মুকুট আনল জিনে॥ তাঁরাই সকল শহীদ যারা করল এমন মৃত্যুবরণ। তাঁদের জন্যই নতুন ঊষা,আশা-ভরসা,জীবন যাপন"॥ খোকন শুধায়, "নিজের জীবন দিলযারা,তাদের জন্য একটিই দিন? আর বাকি দিন ভুলেই থাকে,মানুষ কেন এমন হীন? বলতে পারিস,কোন দুখেতে নিজের জীবন করল পণ? কোন সুখেতে মৃত্যুমুখেও বল মা ওদের ভরল মন? আমার মতন ওঁরাও তো মা ছিল কারোর খোকনসোনা-- তাদের জন্য একবারও তো তোমার চোখটা ভিজল না..? আমায় তবে জাগাস নে মা,আর একটুকু ঘুম যাই। স্বপ্নঘোরে তাঁদের পায়ে হাতটা আমার ছোঁয়াই"॥ খোকার কথায় মায়ের মনে সে এক বিষম লাজ। মন বলে তার এ এক বুঝি আধুনিকতার সাজ॥ বি: দ্র:- জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে আমাদের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
0 Comments