সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ১৯২১ সালের ২রা মে। ১৯২৩ সালে বাবা সুকুমার রায় যখন কালাজ্বরে প্রয়াত হন, তখন সত্যজিৎ নিতান্তই ছোট- মাত্র দু'বছর। আর তাঁর গর্ভধারিনী সুপ্রভাদেবী তখন ৩০ ছুঁই ছুঁই।
বালিগঞ্জ গভর্মেন্ট থেকে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে সত্যজিৎবাবু বি.এ. পাশ করেন। গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে তাঁর ফাইন আর্টসে ঝোঁক ছিল। ১৯৪০ সালে মা'র ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছাকে দূরে রেখে সত্যজিৎবাবু শান্তিনিকেতনে পাড়ি দিলেন এম.এ. পড়ার তাগিদে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর সত্যজিৎ বাবুর পিতা, পিতামহের প্রচন্ড শ্রদ্ধাভক্তি ছিল। মূলত সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তাঁকে শান্তিনিকেতনে পাঠানো।
বালিগঞ্জ গভর্মেন্ট থেকে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে সত্যজিৎবাবু বি.এ. পাশ করেন। গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে তাঁর ফাইন আর্টসে ঝোঁক ছিল। ১৯৪০ সালে মা'র ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছাকে দূরে রেখে সত্যজিৎবাবু শান্তিনিকেতনে পাড়ি দিলেন এম.এ. পড়ার তাগিদে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর সত্যজিৎ বাবুর পিতা, পিতামহের প্রচন্ড শ্রদ্ধাভক্তি ছিল। মূলত সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তাঁকে শান্তিনিকেতনে পাঠানো।
শান্তিনিকেতনে পড়তে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই সত্যজিৎবাবুর উপকারই হয়েছিল। তিনি সেই উপকারের কথা স্বীকারও করেছিলেন। বলেছিলেন যে সেখানে নন্দলাল বসু ও বিনোদবিহারী মুখার্জীকে শিক্ষক হিসেবে পাওয়া নিশ্চিতভাবেই ভাগ্যের কথা। শান্তিনিকেতনের যাবার বছর খানেকের মধ্যেই সত্যজিৎবাবু "ইনার আই" (ত্রিনয়ন) নামে একটি ডকুমেন্টরি বা তথ্যচিত্র প্রস্তুত করেন। এটি প্রস্তুতের পরেই ধীরে ধীরে ৬ফুট ৪ইঞ্চি মানুষটির মূল্যায়ন শুরু হয়ে যায়।
নিয়মানুসারে বিশ্বভারতীতে সত্যজিৎবাবুর পড়াশোনার জন্য পাঁচ বছর থাকার কথা। কিন্তু তিন বছর কাটতে না কাটতেই তিনি কলকাতায় একরকম পালিয়েই আসেন। কলকাতা ছেড়ে তাঁর পক্ষে থাকা আর সম্ভব হচ্ছিল না। কলকাতায় এসে তিনি ডি জে কেমার নামক এক ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থাতে কাজ শুরু করেন। সেটি ১৯৪৩ সাল। সেইসময় উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি মাস গেলে ৮০ টাকা বেতন হিসেবে পেতেন। ঐ প্রতিষ্ঠানে বেশিদিন কাজ করা তাঁর সম্ভব হলো না। তিনি সেখানে ভারতীয় ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কর্মীদের মধ্যে বেতনের ব্যাপারে বৈষম্য নজর করেন, যা তাঁকে অত্যন্ত পীড়া দেয়। তিনি ওই বৈষম্যের প্রতিবাদ করে চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন।
নিয়মানুসারে বিশ্বভারতীতে সত্যজিৎবাবুর পড়াশোনার জন্য পাঁচ বছর থাকার কথা। কিন্তু তিন বছর কাটতে না কাটতেই তিনি কলকাতায় একরকম পালিয়েই আসেন। কলকাতা ছেড়ে তাঁর পক্ষে থাকা আর সম্ভব হচ্ছিল না। কলকাতায় এসে তিনি ডি জে কেমার নামক এক ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থাতে কাজ শুরু করেন। সেটি ১৯৪৩ সাল। সেইসময় উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি মাস গেলে ৮০ টাকা বেতন হিসেবে পেতেন। ঐ প্রতিষ্ঠানে বেশিদিন কাজ করা তাঁর সম্ভব হলো না। তিনি সেখানে ভারতীয় ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কর্মীদের মধ্যে বেতনের ব্যাপারে বৈষম্য নজর করেন, যা তাঁকে অত্যন্ত পীড়া দেয়। তিনি ওই বৈষম্যের প্রতিবাদ করে চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন।
চাকুরি থেকে ইস্তফা দেবার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সিগনেট প্রেসে যোগদান করেন। এটা ছিল তাঁর পছন্দমতো জায়গা। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে সিগনেট প্রেসে তিনি স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি সেখানে মূলত মুদ্রিত বইগুলির প্রচ্ছদ ডিজাইন করে দিতেন। তাঁর ডিজাইন করা বইগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল নেহেরুজীর "ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া", জিম করবেটের "ম্যান ইটার অফ কুমায়ুন", বিভূতিভূষণবাবুর "চাঁদের পাহাড়", জীবনানন্দের "রূপসী বাংলা" প্রভৃতি। ১৯৪৭ সালে তিনি চিদানন্দ দাশগুপ্তের সঙ্গে ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি তৈরি করেন। উক্ত সোসাইটির সূত্র ধরে তাঁর একাধিক বিদেশী ছবি দেখার সুযোগ ঘটে। ১৯৪৯ সালটি তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বছর। তিনি বিবাহ করলেন দূর সম্পর্কের দিদি, দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ও বন্ধু বিজয়া দাসকে। বয়সে অবশ্য বিজয়া দেবী সত্যজিৎবাবুর থেকে বছর চারেক বড় ছিলেন।
(ক্রমশ...)
~ ড. সঞ্জীব রায়
© Copyright Protected
3 Comments
আপনার লেখা গুলো খুব ভালো। সত্যি সত্যজিদ রায়ের কথা বলতে গেলে আমার অপুর সংসারের কথা আর পথের পাচালির কথা মনে পরে যায়। এই বইগুলো যতই দেখি না কেন পুরনো হয় না।
ReplyDeleteখুব সুন্দর। পরের টুকুর অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteসত্যজিৎ রায়ের মতো বিশ্ববিশ্রুত মানুষকে অল্প কথায় প্রকাশ করা সহজ নয়। আপনার লেখায় খুব সুন্দরভাবে তার প্রকাশিত হয়েছে।
ReplyDeleteসংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্বের পর সৃষ্টিশীল কর্মজীবনে প্রবেশ - লেখার শুরু ভালো লাগলো। অবশ্যই পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় থাকলাম।