— কত বড়ো হয়ে গেছিস রে তুই!!
— হ্যাঁ, কি করব আর কোনো অপশন ছিল না তো তাই হয়ে গেলাম আর কি!
— তা এখনো বিয়ে-শাদি করছিস না কেন?
— সেই একবার বিয়ের ফুল ফুটেছিল তো। কিনতু ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।
— সারাদিন ফেবু করে করে যতো উল্টোপাল্টা কথা শিখেছিস। হ্যাঁ রে, কেউ আছে নাকি, টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম?
— আরে ওই লম্বা-কালো ছাগলটার কথাই তো বলছি এতক্ষণ ধরে।
— উফফ!! শোন না, এবার একটা ছেলে দেখি?
— এই বয়সে? ফুলমেসোর তাহলে কী হবে গো? আর কিছু না হোক তোমাকে এত বছর ধরে ফি হপ্তা বিরিয়ানি খাইয়েছে, উইথ আলু।
— চুপ কর তো। জীবনে করার মত ওই একটা কাজই তোর মেসো মন দিয়ে করেছে। এই আমি বলেই টিকে আছি নইলে...
— নইলে আর কি!! তুমি ফি হপ্তা বিরিয়ানি পেতে না।
— এমন করে বলিস না। এত বছরের রিলেশন, তার একটা ইয়ে আছে না!! আর সেই আমি যখন ডায়েট করতাম তখন কি আমি বিরিয়ানির আলুগুলো তোর মেসোকে দিয়ে দেইনি?
— ইসসস!! কত্ত প্রেম তোমাদের।
— তা আছে বটে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই। তখন তো তোর মেসো আমার আঁচল ছাড়া নাক মুছত না।
— ওয়াআআআআ....!!!!!
— এ কি, কাঁদছিস কেন?
— আমি একবার ওর শার্টে নাক মুছেছিলাম বলে আমার সাথে ব্রেক আপ করে দিল। ও শুধু আমার সর্দিটাই দেখলো, তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালবাসাটা দেখল না?
— কাঁদিস না মনা, পুরুষ জাতটাই এরকম। আমার ডায়েটের সময় বিরিয়ানির আলুগুলো কেমন কপাৎ করে মুখে ঢুকিয়ে নিত। কখনো বলত না "ওগো তুমি না খেলে আমি খাই কী করে"?
— থাক্, কেঁদো না মাসি। ভগবান সব হিসেব রাখেন। তাই তো অমন একটা বিরিয়ানির হাঁড়ির মতন পেট দিয়েছেন।
— তা যা বলেছিস। শোন না, ওই মোড়ের মাথায় নতুন দোকানটাতে বেশ বড়ো হাঁড়ি দেখলাম আসার সময়। চল না টেস্ট করি।
— চলো। চিকেনের সাথে ডিম দুটো তোমার। আমাকে তোমার আলুটা দিয়ো না হয়।
— কেন? আমার আলু তোকে দেব কেন?
— বাহ!! আমি যে ডিম দিচ্ছি।
— রাখ তোর ডিম নিজের কাছে। তোর মত হাভাতে নাকি আমি যে কখনো ডিম খাইনি!! তোর মেসো আমাকে কম খাওয়ায়নি। আমি ওর কাছেই চললাম। (হন্ হন্ করে হাঁটতে লাগল)
— তাই যাও। ও আর যাই হোক আমাকে ওর ভাগের ডিম, আলু দুটোই দিত। তোমার মত ভিখারি দুটো দেখিনি যে একটা আলুর জন্য বোনঝির সাথে ঝগড়া করে। আজকেই ওকে কল করে ঝগড়া মিটিয়ে নেব।
— (ফিরে এসে) হ্যাঁ রে, ওকেই কি বিয়ে করবি নাকি? তা তোর বিয়েতে বিরিয়ানি করলেই ভালো। আইটেম অনেক কম করলেও চলবে।
— এটা তুমি ঠিক বলেছ। স্পেশালি আলুটা পার হেড দুপিস বলে দিতে হবে।
— একদম। চল আজকে আমার তরফ থেকে খাওয়াবো। আজকে আলুটা তোর।
— আরে না না, কি বলছ মাসিমণি। আমি খাওয়াচ্ছি। আলুটা তোমাকেই দেবখন।
— আরে....
— দুর....
— উহুঁ....
— হ্যাঁ, কি করব আর কোনো অপশন ছিল না তো তাই হয়ে গেলাম আর কি!
— তা এখনো বিয়ে-শাদি করছিস না কেন?
— সেই একবার বিয়ের ফুল ফুটেছিল তো। কিনতু ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।
— সারাদিন ফেবু করে করে যতো উল্টোপাল্টা কথা শিখেছিস। হ্যাঁ রে, কেউ আছে নাকি, টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম?
— আরে ওই লম্বা-কালো ছাগলটার কথাই তো বলছি এতক্ষণ ধরে।
— উফফ!! শোন না, এবার একটা ছেলে দেখি?
— এই বয়সে? ফুলমেসোর তাহলে কী হবে গো? আর কিছু না হোক তোমাকে এত বছর ধরে ফি হপ্তা বিরিয়ানি খাইয়েছে, উইথ আলু।
— চুপ কর তো। জীবনে করার মত ওই একটা কাজই তোর মেসো মন দিয়ে করেছে। এই আমি বলেই টিকে আছি নইলে...
— নইলে আর কি!! তুমি ফি হপ্তা বিরিয়ানি পেতে না।
— এমন করে বলিস না। এত বছরের রিলেশন, তার একটা ইয়ে আছে না!! আর সেই আমি যখন ডায়েট করতাম তখন কি আমি বিরিয়ানির আলুগুলো তোর মেসোকে দিয়ে দেইনি?
— ইসসস!! কত্ত প্রেম তোমাদের।
— তা আছে বটে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই। তখন তো তোর মেসো আমার আঁচল ছাড়া নাক মুছত না।
— ওয়াআআআআ....!!!!!
— এ কি, কাঁদছিস কেন?
— আমি একবার ওর শার্টে নাক মুছেছিলাম বলে আমার সাথে ব্রেক আপ করে দিল। ও শুধু আমার সর্দিটাই দেখলো, তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালবাসাটা দেখল না?
— কাঁদিস না মনা, পুরুষ জাতটাই এরকম। আমার ডায়েটের সময় বিরিয়ানির আলুগুলো কেমন কপাৎ করে মুখে ঢুকিয়ে নিত। কখনো বলত না "ওগো তুমি না খেলে আমি খাই কী করে"?
— থাক্, কেঁদো না মাসি। ভগবান সব হিসেব রাখেন। তাই তো অমন একটা বিরিয়ানির হাঁড়ির মতন পেট দিয়েছেন।
— তা যা বলেছিস। শোন না, ওই মোড়ের মাথায় নতুন দোকানটাতে বেশ বড়ো হাঁড়ি দেখলাম আসার সময়। চল না টেস্ট করি।
— চলো। চিকেনের সাথে ডিম দুটো তোমার। আমাকে তোমার আলুটা দিয়ো না হয়।
— কেন? আমার আলু তোকে দেব কেন?
— বাহ!! আমি যে ডিম দিচ্ছি।
— রাখ তোর ডিম নিজের কাছে। তোর মত হাভাতে নাকি আমি যে কখনো ডিম খাইনি!! তোর মেসো আমাকে কম খাওয়ায়নি। আমি ওর কাছেই চললাম। (হন্ হন্ করে হাঁটতে লাগল)
— তাই যাও। ও আর যাই হোক আমাকে ওর ভাগের ডিম, আলু দুটোই দিত। তোমার মত ভিখারি দুটো দেখিনি যে একটা আলুর জন্য বোনঝির সাথে ঝগড়া করে। আজকেই ওকে কল করে ঝগড়া মিটিয়ে নেব।
— (ফিরে এসে) হ্যাঁ রে, ওকেই কি বিয়ে করবি নাকি? তা তোর বিয়েতে বিরিয়ানি করলেই ভালো। আইটেম অনেক কম করলেও চলবে।
— এটা তুমি ঠিক বলেছ। স্পেশালি আলুটা পার হেড দুপিস বলে দিতে হবে।
— একদম। চল আজকে আমার তরফ থেকে খাওয়াবো। আজকে আলুটা তোর।
— আরে না না, কি বলছ মাসিমণি। আমি খাওয়াচ্ছি। আলুটা তোমাকেই দেবখন।
— আরে....
— দুর....
— উহুঁ....
~ সুফি রায়
© Copyright Protected
0 Comments