আমার রূপে তুমি ছিলে মুগ্ধ
আমার গুণে মুগ্ধ ছিল তোমার স্বজন,
দেনা-পাওনার হিসেবটা মিটে যেতেই
ঠিক হলো শুভ দৃষ্টির দিনক্ষণ।
চার হাত এক হলো শুভ লগ্নে
শুধু এক হলো না তোমার আমার চিন্তা-ধারা,
মেয়েদের মানিয়ে নিতে হয়-
এটাই যে সংসারের চরম বাস্তব।
ভালোবাসা দিয়েছিলে ঠিকই-
কিন্তু তাতে খাদ ছিল কিঞ্চিৎ,
ক্রমে ক্রমে রূপের মোহ কাটিয়ে
অবহেলা-অবজ্ঞা জায়গা করে নিল তোমার মনেতে-
চরম লাঞ্ছনাময় সে জীবন।
পিছুটান যেটা জন্মেছিল
সেটা তোমার প্রতি তীব্র ভালোবাসা আর অন্ধ বিশ্বাস,
উপহাস করে তুমি বলতে-
মিছে আমার ভালোবাসা
সবই নাকি বন্দী ঐ মানি-ব্যাগের নোটে !
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম তোমার দিকে।
মানিয়ে নিতে নিতে কোণ ঠাসা - বড়ো ক্লান্ত
তীব্র যন্ত্রনাময় এ জীবন
অথচ প্রতিশ্রুতি ছিল সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের
নিজ হাতে ভঙ্গ করলে সে প্রতিশ্রুতি
ভাবলে না সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ।
সব কিছুকে উপেক্ষা করে চলে এলাম বাবার কাছে
তুমি খোঁজ টুকুও নিলে না
নিজেকে সামিল করলে অন্য জীবলে -
বড়ো বিশৃঙ্খল সে জীবন
হারিয়ে ফেললে নিজ সত্তা নিজের অজান্তে ।
লোক মারফৎ বার্তা পাঠালে মুক্তির
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নিঃশ্চুপ তোমার স্বজন
নিরুপায় আমি - নিরুপায় আমার স্বজন
তাই দ্বারস্থ আজ আদালতের -
দাবী সম্পর্কের পুনর্মিলনের ।
আইনের ধারাতে স্বজ্ঞানে বন্দী দু'জনে
লড়াইটা চলছে সমানে - সমানে
মাঝে সাজে দেখা হয় বিপরীত বেঞ্চে
তুমি ব্যস্ত ভাঙনে -
আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নব গড়নে।
বছরের পর বছর চলছে যে লড়াই
জানি না কার হবে হার - কারই বা জিৎ ?
তবু প্রত্যাশায় থাকি তোমার ফেরার -
আমাদের সম্পর্কের পুনর্মিলনের ।
( স্বত্ব নিজস্ব )
© সানন্দা নন্দী
0 Comments