আজ পয়লা জুলাই এই দিনটিকে ন্যাশনাল ডক্টরস ডে হিসাবে পালন করা হয় ৷ এ বছর রাজ্য সরকার বিশেষ সম্মান জানিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন।
১৮৮২ সালের পয়লা জুলাই এই মহান আত্মার জন্মদিন ৷ এই মানুষটি মানব সেবায় উৎসর্গকৃত ছিলেন। বিভিন্ন সমাজ সেবার সাথে যুক্ত ছিলেন। ইংরেজ শাসন মুক্ত ভারতবর্ষ র জন্য খুব ভাবতেন।
তিনি ভারত রত্ন সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন ৷ ১৯৪৮ সালে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি দুর্গাপুর নগরীর প্রতিষ্ঠাতা৷ এছাড়া বিধাননগর, আশোকনগর, হাবড়া, কল্যানী শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দুর্গাপুর ব্যারেজ অন্যতম পরিষেবা।
জনগণের সেবাই ছিল প্রথম কাজ ও কর্তব্য। চিওরজ্ঞনে ক্যান্সার হাসপাতাল, চিত্তরজ্ঞন সেবাসদন, টিবি হাসপাতাল তৈরী করেছিলেন। আশ্চর্য্য হওয়ার বিষয় নিজের বাড়িটা পর্যন্ত জনগণের সেবায় দান করেছিলেন।
অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলা এবং প্রথম হাসি যিনি হাসেন তিনি হলেন ডাক্তার রূপি ভগবান। সমস্ত জটিল রোগ তিনি চোখ বন্ধ করে নির্ণয় করতে পারতেন। এই প্রসঙ্গে একটি শোনা ঘটনা অবতারণা না করে পারছি না। যদিও সামান্য তবুও আমার ভালো লাগছে। আমার প্রয়াত দাদু শ্রী যামিনীভূষণ দীক্ষিৎ ডাক্তার ছিলেন বাঁকুড়া জেলার মালিয়াড়া গ্রামের৷ চিকিৎসক হিসাবে নাম ছিল। দাদুর সাথে বিধানচন্দ্রের সাক্ষাৎ হয়েছিল বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটিতে।
আমার বাবা শ্রীযুক্ত গৌরাঙ্গ প্রসাদ দীক্ষিৎ দেখেছিলেন কলকাতার জনসভায়৷
এই মহামানব আছেন সমস্ত তর্কবিতর্কের উপরে। এই মহান মানুষটি ছিলেন জীবন্ত ঈশ্বর। তিনি ১৯৬২ সালে এই দিনে পরলোকে যাত্রা করেন৷ আমাদের সকলের অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি বিধানচন্দ্র রায়ের এই দিনে। হ্যাপি ডক্টরস ডে৷ আমরা সকলে সুস্থ থাকি তোমাদের জন্যে।।
~ দীপান্বিতা পান্ডে
© Copyright Protected
0 Comments