স্বাধীনতা মানে মুক্ত বিহঙ্গ কোমল কুসুমকাননে।
যে স্বাধীনতায় থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, জাতপাত-
যে স্বাধীনতায় পথের শিশুরা পেট ভরে খাবে ভাত!
এই স্বাধীনতা চাননি কখনো বীর নেতাজী সুভাষ,
এই স্বাধীনতায় ক্ষুদিরাম বসু করেন যে পরিহাস।
এই স্বাধীনতা ভারত-মাতার লজ্জা করেনি হ্রাস
এই স্বাধীনতা স্বার্থসিদ্ধি, জনতার হাঁসফাঁস।
কতো যে বয়েছে রক্তনদী স্বাধীনতা আনয়নে,
এই স্বাধীনতার কষ্ট কতো যে, মূল্য দিতে কেউ জানে?
বিদেশীর দেওয়া শৃঙ্খল পরেছে জন্মভূমি আমার
লাঞ্ছনা সয়ে, অত্যাচার সয়ে, করেছে ত্যাগ স্বীকার।
ভারত মায়ের বীরপুত্ররা গর্জে উঠেছে যবে
ইংরেজ ভূত ভয় পেয়েছিল, দেশ ছেড়েছিল তবে।
ক্ষুদিরাম আর নেতাজী সুভাষ আরো কতো বীর ছেলে
ফাঁসির মঞ্চে জীবন দিয়েছে, মরেছে যে অবহেলে।
বিভেদনীতিতে ভুলায়ে "সাদারা" করেছে দেশকে ভাগ,
ভারত মায়ের ছেলেদের মনে রয়েছে এখনো রাগ।
হিন্দু-মুসলিম ছিলো ভাই ভাই, এক মাটি এক দেশ,
অভাবের মাঝে কাটাতো জীবন সুখে ছিলো তবু বেশ।
বণিক জাতিরা অতিথি সেজে এলো ব্যবসার ছলে,
কুক্ষিগত করলো সবই ছলে-বলে-কৌশলে।
ধূর্ত যে ঐ শ্বেত বানরেরা করলো লঙ্কা ছাই,
দলে দলে সবে যোগ দিলো ব্রতে, মায়ের মুক্তি চাই।
অহিংসই বলো, সহিংসই বলো, মুক্ত করবো দেশ-
ইংরাজ তুমি ভারত ছাড়ো, হয়েছে যে দিন শেষ।
ধূর্তের দল বুঝলো সকল, আর নয়, আর নয়..
লেজ গুটিয়ে ছাড়লো এ দেশ, লড়াইয়ের হলো জয়।
~ নীতা কবি মুখার্জী
© Copyright Protected
0 Comments