ঠাকুর দাসের পুত্র তিনি বীরসিংহ তার ধাম।
গোপালের মতো সুবোধ নন, ছিলেন দুষ্টু রাখাল।,
মলত্যাগ করে নাশ করতেন মথুর মন্ডলের হাল।
শ্রাদ্ধে কিংবা আলোচনা সভায় জুটতো মহাপন্ডিত,
ক্ষুদে এই জ্ঞানী শাস্ত্র জ্ঞানে তাঁদের নড়িয়ে দিতেন ভীত।
শরীরচর্চা, লাঠি খেলায় ছিল তাঁর মত আর কে বা!
আবার দ্বিধা না করে রোগী আতুরের করতেন যত্ন-সেবা।
এঁটো-কাটা খেতেন শূদ্র কিংবা কায়স্থের পাত থেকে,
নারী-পুরুষ যত বিরূপ হতেন এসব কান্ড দেখে দেখে।
দুঃখ-কষ্ট অগ্রাহ্য করেও বিদ্যা-শিক্ষায় ছিল তাঁর বড় যত্ন,
ন্যায়, তর্ক-শাস্ত্র, জ্ঞানে তিনি তৈরি হলেন আসলেই এক রত্ন।
বাছুর হবে বঞ্চিত বলে দুধ-পান নাকি ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে শুনি,
ঝাঁকামুটেওয়ালা, কলেরা রোগী, বিনা বিচারেতে কোলে তুলেছেন তিনি।
মানুষ ছিলেন সরল সাধারণ কিন্তু ‘দয়াসাগর’ হিসেবে ছিলেন অনন্য,
‘বিদ্যাসাগর’ হলেন আসলেই জ্ঞান-বিদ্যা-বুদ্ধি আর পান্ডিত্যের জন্য।
ব্যক্তিত্ব, সাহস, স্বাধীন চিন্তা ছিল তাঁর জীবনের ঢাল,
চিরনমস্য হয়ে সবার মনিকোঠায় তিনি বাঁচবেন চিরটা কাল।
~ সামসুজ জামান
© Copyright Protected
0 Comments