ভারতের বিশ্বকাপ পরাজয়
সমাদৃত দাস
বয়স:-১৪, শ্রেণি:- অষ্টম, স্কুলের নাম:- গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউশন (আই. সি. আই)
২০২৩ সালের বিশ্বকাপ অনেক কিছু ঘটিয়ে দিয়ে গেল। এই বিশ্বকাপে অনেক নতুন রেকর্ড তৈরী হল ভারতের। তবে সেটা কাজে লাগল না ভারতের। এই বছরের বিশ্বকাপের ট্রফিটাও ভারতের হাত থেকে পিছলে বেরিয়ে গেল। ষষ্ঠ বারের মতন চ্যাম্পিয়ন রেকর্ড নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেল অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় দল কে মাথা নীচু করে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম থেকে বাড়ি ফিরতে হল। মানুষের এত আশা,ভরসা, উন্মাদনা সবই নষ্ট হয়ে গেল। ভারতের ব্যাটিং ও বোলিং এর ভরাডুবির জন্য। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপের ট্রফিটা প্রথমবার হাতে পায়। আর দ্বিতীয়বার ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত শ্রীলংকা কে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতন ও.ডি.আই বিশ্বকাপ জয় লাভ করে। তারপরে ২০১৫ ও ২০১৯ সালে ভারতের ব্যার্থতার জন্য অন্যান্য দল ট্রফি নিয়ে চলে যায়। এই ব্যার্থতা গুলো শুধু আমাকে নয় গোটা ১৪০ কোটি দেশবাসীর মন ভেঙ্গে দিল। এবার প্রশ্ন হলো ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ভারত ফাইনালে উঠেও কেন জয়লাভ করতে পারল না? এর উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন তবুও বলি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে যেটা মনে হয় সেটা হল আত্মবিশ্বাস। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে ২০২৩ সালের ১৯ শে নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম এ ব্যাটিং ও বোলিং এই দুই দিক থেকেই ভারত ব্যার্থ হয়। তার ফলেই ভারতের পরাজয় হয়। আর নিজের দেশের মাটিতে ভারতের জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল। তারপরে অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে বোলিং করেছিল।ভারতের রান মাত্র ২৪০/১০ ( ৫০.০০) ওভার।যেটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে চুনোপুটি। ট্রাভিস হেড ও মার্নস লাবুশেনের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং এ চুর্ন-বিচূর্ণ হয়ে যায়। সেমি ফাইনালে মহম্মদ শামির ৭ উইকেটের জন্য ও বিরাট কোহলি শ্রেয়াস আইয়ারের শতরানের জন্য নিউজিল্যান্ড কে পরাস্ত করেছিল। তবে সেমি ফাইনালে মহম্মদ শামির অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল বলে এটা সেমি ফাইনাল নয় শামি ফাইনাল বলা উচিত। সেমিাইনালের স্কোর বোর্ড ছিল ভারতের ৩৯৭/৪ (৫০.০০) ওভার। আর নিউজিল্যান্ড এর স্কোর বোর্ড ছিল ৩২৭/১০ (৪৮.০৫) ওভার। কাজেই খুব সুন্দর ইনিংস ভারত খেলেছিল সেটা বলাই বাহুল্য। যাইহোক বিশ্বকাপ মানেই হার-জিত রয়েছে তাই এগুলোকে মেনে নিতে হবে। এবার আসি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ঘটে যাওয়া দুটি রেকর্ড নিয়ে।
১) বিরাট কোহলির ৪৯ তম সেঞ্চুরি।
গত ৫ই নভেম্বর ২০২৩ বিরাট কোহলির কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ভারতের বিরাট কোহলি, ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার কে ছুঁয়ে ফেলেন,৪৯ তম সেঞ্চুরি করে। ২০১৩ সালের ৫ই নভেম্বর শচীন টেন্ডুলকরের জীবনের শেষ তম ইনিংস ছিল। আর ২০২৩ সালের ৫ই নভেম্বর শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন কোহলি। তাই তো শচীন টেন্ডুলকারের তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ লিখেছেন," Well played Virat Kohli.It took me 365 days to go from 49 to 50 earlier this year.I hope you go from 49 to 50 and brake my record in next few days. Congratulations!!"
২) ১০/১০ ভারত
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল ১০ টি ম্যাচে ১০ টি তেই জয়ী ভারত। এটাও একটি রেকর্ড এর মধ্যেই পড়ে। তাই এটাও কম বড় কথা নয় ভারতীয় দের কাছে।
শেষ পর্যন্ত এটাই বলার খেলাতে জেতা-হারা থাকবেই। এই নিয়েই আমাদের আমাদের চলতে হবে। এখন আবার ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রতীক্ষা।
তথ্যসূত্র:-
১. উইকিপিডিয়া
২. সোশ্যাল মিডিয়া
৩. আইসিসি এবং বিসিসি।
0 Comments