(লেখার প্রথমেই জানাই সকলকে নমস্কার। যদি ভুল কিছু থাকে ক্ষমা করবেন। আমার লেখার মাধ্যমে সামান্য অর্ঘ্য নিবেদন করলাম। একটি আধুনিক কবিতা।)
সেদিন তারিখটা ছিল
২৬শে সেপ্টেম্বর, সালটা ছিলো ১৮২০,
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় বীরসিংহ গ্রামে।
মাতা ভগবতী দেবীর কোল আলো করে
জন্ম নিলো,বাংলার বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা তথা
আমাদের দয়ার সাগর ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।
ওই যে হেড়ে মাথা পারা ছেলেটা,
যার লেখাপড়ার প্রতি ছিলো
অসীম আগ্রহ আর ভালোবাসা।
আর জানা ছিলো পড়া রপ্ত করার নানা কৌশল,
যা ছিলো মনে ধরার মতো।
কখনো বান্না বাটতে বাটতে , কখনো ল্যাম্পপোস্টের
নিচে, কখনো বা প্রদীপের আলো জ্বেলে
একমনে পড়ে যাওয়া।
তা কি তখন কেউ জানতো
ওই একগুঁয়ে, একরোখা ছেলেটাই একদিন
হয়ে উঠবে সকলের প্রিয় বিদ্যাসাগর।
যতই বড় হতে থাকলো
তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো সারা দেশে।
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ভালবাসা,
আর দরিদ্রের প্রতি দয়া প্রবণতাই
তাঁকে করে তুললো দয়ার সাগর।
এক এক করে নিপীড়িত নির্যাতিত
মহিলাদের জন্য গড়ে তুললেন বিদ্যালয়,
চালু করলেন বিধবা বিবাহ প্রথা।
আর রোধ করলেন বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহের মত
সামাজিক ব্যাধিগুলিকে।
লেখনীর মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুললেন
বাংলার নবজাগরণের প্রকাশ।
লিখলেন বোধদয়, কথামালার মত
যুগান্তকারী সৃষ্টি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে "বাংলা গদ্যের
প্রথম শিল্পী" বলে অভিহিত করলেন।
মহাকবি মাইকেল তাঁর মধ্যে দেখতে পেলেন
প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মোদ্যম ও
বাঙালি মায়ের হৃদয় ব্যক্তি।
তাই আমি আজ আমার লেখনীর মধ্য দিয়ে
সল্প পরিসরে কিছু অর্ঘ্য নিবেদন করলাম
তাঁর চরণেতে।
তুমি বিদ্যাসাগর,
থাকবে চির স্মরণীয় হয়ে প্রতিটা বাঙালির হৃদয়ে,
যতদিন চন্দ্র সূর্য থাকবে পৃথিবীর আকাশেতে।
আর তোমার কৃতিত্ব ভাস্বর হয়ে জ্বলে থাকবে
প্রতিটা বাঙালির মায়ের বুকে।
তোমার জীবনের প্রতিটা কর্ম ছড়িয়ে পড়বে
যুগ যুগান্তরে- বাঙালির মুখে মুখে।
সেদিন তারিখটা ছিল
২৬শে সেপ্টেম্বর, সালটা ছিলো ১৮২০,
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় বীরসিংহ গ্রামে।
মাতা ভগবতী দেবীর কোল আলো করে
জন্ম নিলো,বাংলার বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা তথা
আমাদের দয়ার সাগর ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।
ওই যে হেড়ে মাথা পারা ছেলেটা,
যার লেখাপড়ার প্রতি ছিলো
অসীম আগ্রহ আর ভালোবাসা।
আর জানা ছিলো পড়া রপ্ত করার নানা কৌশল,
যা ছিলো মনে ধরার মতো।
কখনো বান্না বাটতে বাটতে , কখনো ল্যাম্পপোস্টের
নিচে, কখনো বা প্রদীপের আলো জ্বেলে
একমনে পড়ে যাওয়া।
তা কি তখন কেউ জানতো
ওই একগুঁয়ে, একরোখা ছেলেটাই একদিন
হয়ে উঠবে সকলের প্রিয় বিদ্যাসাগর।
যতই বড় হতে থাকলো
তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো সারা দেশে।
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ভালবাসা,
আর দরিদ্রের প্রতি দয়া প্রবণতাই
তাঁকে করে তুললো দয়ার সাগর।
এক এক করে নিপীড়িত নির্যাতিত
মহিলাদের জন্য গড়ে তুললেন বিদ্যালয়,
চালু করলেন বিধবা বিবাহ প্রথা।
আর রোধ করলেন বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহের মত
সামাজিক ব্যাধিগুলিকে।
লেখনীর মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুললেন
বাংলার নবজাগরণের প্রকাশ।
লিখলেন বোধদয়, কথামালার মত
যুগান্তকারী সৃষ্টি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে "বাংলা গদ্যের
প্রথম শিল্পী" বলে অভিহিত করলেন।
মহাকবি মাইকেল তাঁর মধ্যে দেখতে পেলেন
প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মোদ্যম ও
বাঙালি মায়ের হৃদয় ব্যক্তি।
তাই আমি আজ আমার লেখনীর মধ্য দিয়ে
সল্প পরিসরে কিছু অর্ঘ্য নিবেদন করলাম
তাঁর চরণেতে।
তুমি বিদ্যাসাগর,
থাকবে চির স্মরণীয় হয়ে প্রতিটা বাঙালির হৃদয়ে,
যতদিন চন্দ্র সূর্য থাকবে পৃথিবীর আকাশেতে।
আর তোমার কৃতিত্ব ভাস্বর হয়ে জ্বলে থাকবে
প্রতিটা বাঙালির মায়ের বুকে।
তোমার জীবনের প্রতিটা কর্ম ছড়িয়ে পড়বে
যুগ যুগান্তরে- বাঙালির মুখে মুখে।
~ চাতক পাখি
© Copyright Protected
2 Comments
Nice post
ReplyDeleteSo nice
ReplyDelete