অন্দরমহলে ছিল তোমার রাজকীয় উপস্থিতি।
তোমার নিটোল দুই বাহু থাকতো বাজুবন্ধে বাঁধা,
পিঠছাপানো চুলে, সুডোল নিতম্বে চলন, গজগামিনী-
তোমার রূপের স্তুতি করেছেন কত রাজা মহারাজা!
পর্দার আড়ালে না জানি কত মোহ, কত হাতছানি,
তোমাকে পেতে তাই দিল্লীশ্বর খলজিও বিবশবেহুদা!
এমনই রূপের ঈশ্বরী ছিলে তুমি রাজ্ঞী পদ্মিনী..
অসূর্যম্পশ্যা, তোমার মাধুরী শিল্পীর তুলিতে আঁকা!
সে খোঁজ দিয়েছিল কোনো এক হিরামন পাখি।
সেই অরূপ রতন-
সুদূর সিংহল থেকে খুঁজে নিয়ে আসে
তাঁকে
মরু দেশের যুবক প্রেমিক,
নীল সমুদ্রতট থেকে একেবারে বালিয়ারির দেশে।
তারপর লেখা হয় সেই অনাবিল প্রেমের উপাখ্যান-
সতীত্ব বাঁচাতে নারীর আত্ম বিসর্জন!
সে আগুন নিয়ে আসে-
যুগান্তরের পথে হেঁটে যাওয়া,
নিজের চিতাভস্ম থেকে জন্ম নেওয়া মানবী একবিংশের!
আজকের পদ্মিনীর চোখে ভাসে এক অন্য চিতোর!
সে চিতোরের দুর্গে
সকালে তার পা ধুয়ে দেয় ভোরের শিশির।
বালসূর্যের আলোয় তার মসৃণ মুখমণ্ডল
আরো চক চক করে ওঠে!
না, জওহর ব্রত নয় কোনো , ভয় নেই কোনো দিল্লীশ্বরে,
আজকের পদ্মিনীর একবুক আগুনে বাঁচে তার জিগীষা।
মনের গোপন কুঠুরিতে বেড়ে ওঠে প্রেম-
যে প্রেম অসূর্যম্পশ্যা!
~ অদিতি চক্রবর্তী
© Copyright Protected
0 Comments