Ad Code

.
.
1 / 8
2 / 8
3 / 8
4 / 8
5 / 8
6 / 8
7 / 8
8 / 8

জাতীয় ক্রীড়া দিবস | দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে | প্রবন্ধ

ছবি সৌজন্যে - English Jagran

জাতীয় ক্রীড়া দিবস
দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

০১২ সালে ভারতে প্রথম জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালিত হয়। 

সারা ভারতে ২৯ আগস্ট দিনটিতে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালিত হয়। ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট এলাহাবাদে বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ধ্যান চাঁদের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এই দিনটি পালিত হয়।

    ১৯৩৬ সালে বার্লিন অলিম্পিকে জার্মানির বিরুদ্ধে ৮-১ জয়ে বিখ্যাত হকি খেলোয়ার ধ্যান চাঁদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সময় তিনি তিনটি গোল করে সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে আবির্ভূত হন।

 প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে খেলাধুলা এবং খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর 29 আগস্ট দিনটিতে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালন করা হয়।

    এই দিনটিতেই রাষ্ট্রপতি অর্জুন ও খেলরত্ন পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়া জগতের দেশের সর্বোচ্চ কৃতি দের হাতে।

আমাদের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে ক্রীড়া দিবস আমরা কেন পালন করি? এর উত্তরে বলি,

    ক্রীড়া দিবসকে প্রত্যেকের গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ- ছোটবেলা থেকেই স্কুল পড়ুয়া দের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অবশ্যই খেলাধুলার প্রয়োজন, খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। সুস্থ জীবন যাপনের একমাত্র মাধ্যম হলো ক্রীড়া বা খেলাধুলা। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে। ছাত্র-ছাত্রীরা শারীরিকভাবে ঠিক থাকলেই একাডেমিক ক্ষেত্রে সফল হতে পারবে। খেলাধুলার মাধ্যমে খেলার পাশাপাশি শিশু মনের মধ্যে একটা টিম স্পিরিট গড়ে ওঠে, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা এখান থেকেই আসে এবং প্রত্যেকের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি হয়। যা সামাজিকভাবে অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও খেলাধুলার মাধ্যমে থাকলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ঠিক থাকবে।

    জাতীয় ক্রীড়া দিবস যার জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে হয়, সেই কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় ধ্যানচাঁদ দেশের হয়ে অলিম্পিকে(১৯২৮,১৯৩৪,১৯৩৬) তিনবার সোনার মেডেল জেতেন। ১৯২৬-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত খেলে প্রায় ৪০০ টি গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক আঙিনায় শুধু দেশের নামই বিশ্বের মানচিত্রে নিয়ে যাননি তিনি,বিশ্ব হকিতেও তাঁর অবদান অনেক। এমনকি জার্মানির নাৎসি বাহিনীর প্রধান এডলফ হিটলার তাঁকে জার্মানির হয়ে খেলার জন্য অনেক টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

    দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার তাঁর নামাঙ্কিত। আজীবন কৃতি হিসেবে দেওয়া হয় মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার।

    প্রত্যেকটি দিবসের যেমন একটি থিম থাকে সেরকম ২০২৩ সালের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য ক্রীড়া দিবসের থিম হল, 'মানুষ ও গ্রহের জন্য স্কোরিং' আইডিএসডিপি কার্যক্রম কে বৃহত্তর পরিসরে শান্তি ও উন্নয়নে খেলাধুলার ভূমিকার উপর মনোনিবেশ করতে সক্ষম করে।


বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমাদের শুনতে অবাক লাগবে যে, ভারতের কোন জাতীয় খেলা নেই, এ কথাটা সত্যি। ক্রিকেট এবং ফুটবল ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। কেউ কেউ আবার ভারতের জাতীয় খেলা কাবাডি বা হকি বলেন কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল। আজ থেকে ছ বছর আগে ঐশ্বর্য পরাশর নামে এক ছাত্রী তথ্য জানার অধিকার আইনের সাহায্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, দেশের জাতীয় খেলা কোনটি? উত্তরে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রক পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, 'সরকারিভাবে ঘোষিত কোন জাতীয় খেলা নেই ভারতের।'








Post a Comment

0 Comments

Close Menu